স্বদেশ ডেস্ক:
ঢাকাই সিনেমার তারকা দম্পতি শরিফুল রাজ, পরীমণি, অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামাল ও তানজিন তিশাদের নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা যেন থামছেই না। এর মধ্যে রাজ-পরীর ‘বিচ্ছেদ’র খবর এখন টক অব দ্য কান্ট্রিতে পরিণত হয়েছে। এসব নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করলেন ঢাকা অ্যাটাক’খ্যাত নির্মাতা দীপংকর দীপন।
দীর্ঘ এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে এই নির্মাতা বলেন, ‘ভাই ও বোন প্লিজ থামেন। প্লিজ আমাদের ক্ষমা করে দেন। একবার না বারবার এসব হচ্ছে। নিজেদের টাকা ও ব্যক্তিগত জীবন নষ্ট করে, দিনরাত অপরিসীম কষ্ট করে একটা একটা কনটেন্ট বানিয়ে নিয়ে আসি, দর্শককে সামনে উপস্থাপন করি। তখনই আপনাদের ব্যক্তিগত জীবনের নানা কাহিনি সামনে চলে আসে। সিনেমার কনটেন্ট এর থেকে দর্শকদের আগ্রহ চলে যায় আপনাদের প্রেম, বিয়ে, বিচ্ছেদ, সন্তান এসব দিকে! যা সামনে আসার-ই কথা না। একবার না বারবার হচ্ছে এসব, সত্যি আমি টায়ার্ড, আপসেট।’
দীপনের এমন পোস্ট থেকে স্পষ্ট- তিনি রাজ-পরীর ইস্যু নিয়েই বলছেন। আর সামনে মুক্তি অপেক্ষায় আছে তার নির্মিত সিনেমা ‘অন্তর্জাল’। আর এই সিনেমার অন্যতম নায়িকা সুনেরাহ। এসব আলোচনা-সমালোচনা কারণে ঠিকমত আওয়াজ তুলতে পারছে না সিনেমাটি।
ঢাকা অ্যাটাক’খ্যাত এই নির্মাতা আরও বলেন, ‘প্রত্যেকের জীবনেই এসব আছে। কিন্তু এসব আমরা সামনে নিয়ে আসি না। এসব নিয়ে কথা বলি না পাবলিকলি। আপনারা তো পাশের মানুষটাকেও কিছু বলেন, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে। নিজেদের পাবলিক করলে, পাবলিক তো মজা নেবেই। আপনারা শুরুটা করেন, বাকিরা আপনাদের খোঁচাতে থাকে।’
সংবাদ মাধ্যমগুলোর উদ্দেশ্যে তার অনুরোধ, এসব সংবাদ প্রচার থেকে বিরত থাকার। তাহলে একটা সময় এসব আলোচনা এমনিতেই থেমে যাবে। আর দর্শকদের জন্য তার বার্তা- ‘দর্শকদের অনুরোধ করি, যখন দেশের বাইরে কেউ আপনাকে জিজ্ঞাসা করবে, আপনাদের দেশের সিনেমার স্ট্যান্ডার্ড কেমন? তখন সামনে আসবে কিন্তু তারকাদের বিয়ে, প্রেম, বিচ্ছেদের গল্প দিয়ে নিজের দেশের ব্র্যান্ডিং হবে না। ওসব কেউ মাথায়ই আনবে না, আসবে কনটেন্ট। নিজের দেশের সিনেমার পর্দা কি চলছে সেটা- তারকাদের ঘরে কি চলছে সেটা না। ওটা তারা আলোচনা তারা করুক। যারা চায় এই দেশে সিনেমা বন্ধ হয়ে যাক, তারার তিলকে তাল করবে। আপনারা জাস্ট ইগনোর করুন।’
নির্মাতা দীপংকর দীপনের এমন পোস্ট নজরে এসেছে পরীমণিরও। সে ছেড়ে কথা বলেননি। পোস্টটি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, ‘জি ১০ দিন যে জামাই বাসা ছেড়ে গেছে, এটা তো আপনার সিনেমার নায়িকার কারণেই জানাজানি হইলো ভাইয়া! সিনেমা ফ্যাক্ট আবার কারোর ঘারে চেপে লাইম লাইটে আসাটাও ফ্যাক্ট! যেটা আপনার সিনেমার এই মেয়েটা করল। সবখানে লাফাতে লাফাতে গিয়ে ইন্টারভিউ দিচ্ছে। এত ডাক তো তার কোনো কালে আর আসে নাই। এখন বইলেন খালি আমার থু থু না চাইটা যেন সিনেমার কথাটাও ঠিকমতো বলে। আপনার কিন্তু আরো বড় শিল্পীরা আছেন এই সিনেমায় তাদের কে এখনো ওনার মতো প্রমোশনে যেতে দেখেনি। নাকি সব দায়িত্ব এবার এই একজনেরই!’সবশেষে পরী বলেন, ‘আর ভাইয়া, আপনার সঙ্গে তো আমার পার্সোনালি অনেক ভালো সম্পর্ক! এত বড় স্ট্যাটাস লিখতে পারলেন অথচ আমাকে একটা কল করে কিছু বলতে পারলেন না! আফসোস! আর এমন তুচ্ছ করে লিখবেন না আর প্লিজ ভাইয়া। জীবন সিনেমার কাছে তুচ্ছ করে দেয়া কোনো মেকারের সঙ্গে যায় না। জীবন দামি। সব থেকে দামি।’